না, এটা কোনো সিনেমা নয়। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস মুখ খুললেন স্বামী-সন্তান নিয়ে। শাকিব খান-অপু বিশ্বাসকে নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেল থেকে যা ঘটে গেল, তা সিনেমার গল্পের মতোই।
গতকাল বিকেলে সরাসরি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কাঁদতে কাঁদতে অপু বলেন, ‘আমি সবকিছু জীবন দিয়ে আগলে রাখছি। তার বিনিময়ে ছোট্ট একটু সম্মান চাইছি।’
এক বছর আড়ালে থাকার পর জনসমক্ষে এসে এভাবেই এত দিনের চেপে রাখা কথাগুলো বললেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। নিউজ টোয়েন্টিফোরের সেই অনুষ্ঠানে অপু সঙ্গে করে নিয়ে আসেন ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে। সেখানে তিনি বলেন, তাঁর সন্তানের বাবা চিত্রনায়ক শাকিব খান। শাকিবের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে হয়েছে তাঁর। তাঁদের ছেলের জন্ম হয় ভারতের কলকাতার একটি হাসপাতালে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
এ ঘটনার পর চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অপুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে ও সন্তান আব্রাহামের কথা স্বীকার করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আব্রাহামের দায়িত্ব আমি নিয়ে যাব। সে আমার সন্তান। সারা জীবন তার দায়িত্ব আমি নিয়ে যাব।’ তিনি অপু বিশ্বাসের টিভি সাক্ষাৎকারকে একটি ‘ষড়যন্ত্রে’র অংশ বলে দাবি করেন।
বছরাধিক কাল আগে অপু আড়ালে চলে যান। এর মাস দুয়েক পর থেকেই তাঁকে ঘিরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। শাকিব খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি বারবার উঠে আসে আলোচনায়। কিন্তু বরাবরই অপুর ব্যাপারে মুখ খোলেননি শাকিব।
গতকাল অপু বিশ্বাস টিভি সাক্ষাৎকারে তাঁর সন্তান ও শাকিব খানকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘শাকিব আর আমার একটি ছেলে আছে। সেই বাচ্চার জন্মের সময় শাকিব আমার পাশে ছিল না। আমাকে টাকা দিয়েছে। কোনো মানুষ যদি অসুস্থ থাকে, তাঁকে টাকা দিয়ে কখনো চলে যাওয়া যায় না। আমি কী অন্যায় করছিলাম এমন? আমার অন্যায় কি আমি নায়িকা, আর সব সময় শাকিবকে সাপোর্ট করেছি?’
টেলিভিশনের পুরো অনুষ্ঠানে অপু শুধু শাকিবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েই কথা বলেন। অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমাকে প্রতিনিয়ত সে ঠকিয়ে গেছে। আমি তো তাকে ঠকাইনি। আমাকে সে বিয়ে করেছে। আমাকে বলেছে, “অপু, সব লুকায় রাখো।” আমি প্রতিটা মুহূর্তে লুকায় রাখছি। আমি প্রেগন্যান্ট, আমাকে বলছে লুকায় রাখো।’
অপু বলেন, ‘শাকিবের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার যেহেতু সন্তান, তাকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমি না হয় অন্যায়কারী; বাচ্চাটা তো অন্যায় করেনি।’
অপুর ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁদের ছেলের জন্ম হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। সে সময় অপুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেজ বোন ও মামা। শাকিব সে সময় ঢাকায় শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অপু জানান, সন্তান জন্মের পর তাঁকে কিংবা নবজাতককে দেখতে যাননি শাকিব। ডিসেম্বরে ছেলে আব্রাহামকে নিয়ে দেশে ফেরেন অপু। দেশে ফেরার দুই মাস পর অপুর বাসায় ছেলের সঙ্গে দেখা হয় শাকিবের। ছেলেকে দেখার পর শাকিব নাকি খুশি হয়েছিলেন। অপু জানান, এরপর থেকে শাকিব নাকি প্রতিনিয়ত ছেলেকে দেখতে আসতেন। আব্রাহামকে আদর করতেন, বেড়াতে নিয়ে যেতেন, কথা বলতেন। গত শনিবারও শাকিব আব্রাহামকে দেখে গেছেন, ছেলের জন্য অনেক টাকা দিয়ে গেছেন।
গতকাল বিকেলে সরাসরি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কাঁদতে কাঁদতে অপু বলেন, ‘আমি সবকিছু জীবন দিয়ে আগলে রাখছি। তার বিনিময়ে ছোট্ট একটু সম্মান চাইছি।’
এক বছর আড়ালে থাকার পর জনসমক্ষে এসে এভাবেই এত দিনের চেপে রাখা কথাগুলো বললেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। নিউজ টোয়েন্টিফোরের সেই অনুষ্ঠানে অপু সঙ্গে করে নিয়ে আসেন ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে। সেখানে তিনি বলেন, তাঁর সন্তানের বাবা চিত্রনায়ক শাকিব খান। শাকিবের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে হয়েছে তাঁর। তাঁদের ছেলের জন্ম হয় ভারতের কলকাতার একটি হাসপাতালে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
এ ঘটনার পর চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অপুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে ও সন্তান আব্রাহামের কথা স্বীকার করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আব্রাহামের দায়িত্ব আমি নিয়ে যাব। সে আমার সন্তান। সারা জীবন তার দায়িত্ব আমি নিয়ে যাব।’ তিনি অপু বিশ্বাসের টিভি সাক্ষাৎকারকে একটি ‘ষড়যন্ত্রে’র অংশ বলে দাবি করেন।
বছরাধিক কাল আগে অপু আড়ালে চলে যান। এর মাস দুয়েক পর থেকেই তাঁকে ঘিরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। শাকিব খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি বারবার উঠে আসে আলোচনায়। কিন্তু বরাবরই অপুর ব্যাপারে মুখ খোলেননি শাকিব।
গতকাল অপু বিশ্বাস টিভি সাক্ষাৎকারে তাঁর সন্তান ও শাকিব খানকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘শাকিব আর আমার একটি ছেলে আছে। সেই বাচ্চার জন্মের সময় শাকিব আমার পাশে ছিল না। আমাকে টাকা দিয়েছে। কোনো মানুষ যদি অসুস্থ থাকে, তাঁকে টাকা দিয়ে কখনো চলে যাওয়া যায় না। আমি কী অন্যায় করছিলাম এমন? আমার অন্যায় কি আমি নায়িকা, আর সব সময় শাকিবকে সাপোর্ট করেছি?’
টেলিভিশনের পুরো অনুষ্ঠানে অপু শুধু শাকিবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েই কথা বলেন। অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমাকে প্রতিনিয়ত সে ঠকিয়ে গেছে। আমি তো তাকে ঠকাইনি। আমাকে সে বিয়ে করেছে। আমাকে বলেছে, “অপু, সব লুকায় রাখো।” আমি প্রতিটা মুহূর্তে লুকায় রাখছি। আমি প্রেগন্যান্ট, আমাকে বলছে লুকায় রাখো।’
অপু বলেন, ‘শাকিবের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার যেহেতু সন্তান, তাকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমি না হয় অন্যায়কারী; বাচ্চাটা তো অন্যায় করেনি।’
অপুর ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁদের ছেলের জন্ম হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। সে সময় অপুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেজ বোন ও মামা। শাকিব সে সময় ঢাকায় শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অপু জানান, সন্তান জন্মের পর তাঁকে কিংবা নবজাতককে দেখতে যাননি শাকিব। ডিসেম্বরে ছেলে আব্রাহামকে নিয়ে দেশে ফেরেন অপু। দেশে ফেরার দুই মাস পর অপুর বাসায় ছেলের সঙ্গে দেখা হয় শাকিবের। ছেলেকে দেখার পর শাকিব নাকি খুশি হয়েছিলেন। অপু জানান, এরপর থেকে শাকিব নাকি প্রতিনিয়ত ছেলেকে দেখতে আসতেন। আব্রাহামকে আদর করতেন, বেড়াতে নিয়ে যেতেন, কথা বলতেন। গত শনিবারও শাকিব আব্রাহামকে দেখে গেছেন, ছেলের জন্য অনেক টাকা দিয়ে গেছেন।
অপু জানান, শাকিবের পুরো পরিবারই জানত তাঁদের বিয়ে, তাঁদের সন্তানের কথা। শাকিবের বাসাতেই অপু থাকতেন একসময়। তবে অপুর কাছে শাকিবের পরিবারের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে বলতে পারব না। তাদের কী বক্তব্য, আমি জানি না। শুধু জানি, আমাদের ব্যাপারে তারা পজিটিভ।’
এত দিন কেন বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করেননি, এ প্রশ্নের জবাবে অপু বলেন, ‘শাকিবের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে এত দিন চুপ ছিলাম।’
অপু বলেন, ‘সম্প্রতি এক অভিনেত্রী ও আমাকে নিয়ে একটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সে সময় সেই বিতর্ক নিয়ে আমি শাকিবকে বলেছিলাম, একটা জুনিয়র আর্টিস্ট আমাকে নিয়ে কথা বলছে, এটা ঠিক হচ্ছে কি না। আমি বলেছিলাম, ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে। কিন্তু সে সেটার খেয়াল রাখেনি। মানে আমাকে সম্মান করেনি।’
অপুর কাছে সেই অপর নায়িকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে নাম বলতে রাজি হননি। পরে অবশ্য সেই নায়িকা যে শাকিবের সাম্প্রতিক ছবিগুলোর নায়িকা বুবলি, তা অপু স্বীকার করেন। গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘রংবাজ-এ শাকিবের নায়িকা বুবলি’ শিরোনামের খবরের কথা উল্লেখ করে জানান, খবরটি তাঁকে অসম্মানিত করেছে। শাকিব নাকি অপুকে কথা দিয়েছিলেন যে তিনি আপাতত বুবলির সঙ্গে অভিনয় করবেন না। কিন্তু এ খবরে শাকিবের মন্তব্যে অপমানিত বোধ করেছেন অপু।
অপু তাঁর ছেলে আব্রাহামকে টেলিভিশনের স্টুডিওতে নিয়ে আসেন। ছেলেকে দেখিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলের অন্যায় কোথায়? আমি দর্শকদের কাছে একটা অনুরোধ করব, আমার ছেলেটার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেন ওকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারি। আমি মা হয়ে ওকে ঠকাতে পারিনি। আশা করব, শাকিবও যেন বাবা হয়ে তার সন্তানকে না ঠকায়।’ সবশেষে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি মানুষের মতো মানুষ করে গড়তে চাই আমার ছেলেকে। ও তো ছেলে, আমি চাই ওর দ্বারা যেন কোনো মেয়ে প্রতারিত না হয়।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন